বিশেষ প্রতিবেদক//কানেকটিকাট স্টেট, আমেরিকা
আরিফুর রহমান আরিফ। বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ত্যাগী ও কৃতি ছাত্রনেতা। যিনি ১৯৯২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে তার ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি। ১৯৯৫-১৯৯৬ সেশনের ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। তার বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে ঐ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে একমাত্র তিনিই বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঐ সময়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন বিএনপি। স্রোতের বিপরীতে ঐ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তুমুল জনপ্রিয়তার কারণেই কেবল তিনি বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের ভোটে নির্বাচিত হন এই ছাত্রলীগ নেতা।
সাবেক তুখোড় এই ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান আরিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সোহাতা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও আওয়ামী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একই উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করেন। তার পিতা ফয়জুর রহমান (শিশু ভূঁইয়া) ও মাতা আমিনুর নেছা । তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আরিফুর রহমান আরিফ সবার ছোট । তিনি সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএসএস পাশ করেন। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্সে ভর্তি হন।
রাজনৈতিক জীবন:
আরিফুর রহমান আরিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগ ও পরবর্তীতে যুবলীগের নেতা ছিলেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন পদ ও পদবিতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। রামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা দক্ষিণ অঞ্চল চার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের অন্যতম সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সহ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস ও লালন করে দলীয় সভা সমাবেশ ও আন্দোলন সংগ্রামে সক্রীয় কর্মী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজপথে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে তাদের সকল আদেশ ও নির্দেশ পালন করেছেন। ত্যাগী সৎ ও পরিচ্ছন্ন এই ছাত্রনেতা দলের দুঃসময়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে জামাত বিএনপির সরকারের অনেক নির্যাতনও সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু নিজের দল ক্ষমতায় আসলেও দলীয় সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন।
কর্মজীবন:
আরিফুর রহমান আরিফ কর্মজীবনে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (FPAB) এর ভিশন ২০০০ প্রকল্পের ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র এর ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি এবং জেলা পরিষদের প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ছিলেন। তিনি রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন পদ ও পদবি পেলেও কখনও তা ব্যবহার করে অনৈতিক উপায়ে কোনো সুবিধা গ্রহণ করেন নাই। সারা জীবন নিজের যোগ্যতা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছন। তিনি খুব সাধারণ জীবন-যাপন করতেন ও এখনও তাই মেনে চলেন। উনি ভোগের রাজনীতি করতেন না, ত্যাগের রাজনীতি করতেন। নিজের পরিশ্রম দিয়ে আয় করে পরিবার পরিচালনা করেন।
এছাড়াও তিনি আরো কিছু সেবামূলক সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, সাবেক আহ্বায়ক ট্রেনিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা, আজীবন সদস্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা, সাবেক সদস্য চেম্বার অব কমার্স ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। বর্তমানে আরিফুর রহমান আরিফ স্বপরিবারে ব্রীজপোর্ট সিটি, কানেকটিকাট স্টেট, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক -১ হিসেবে দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply